সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ সাইবার জগতের নানা ক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চালু হলো পুলিশের নতুন ইউনিট ‘সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’। পুলিশ সদর দপ্তরের এলআইসি শাখার অধীনে এ সেবা পরিচালিত হবে। সোমবার সকালে রাজধানীর রাজারবাগের পুলিশ অডিটোরিয়ামে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি বলেন, সাইবার ক্রাইম একটি বৈশ্বিক সমস্যা। দেশে ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীরা এ অপরাধের শিকার হন সবচেয়ে বেশি। সাইবার জগতের ৬৮ শতাংশ নারীই সাইবার অপরাধের শিকার হন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ও সাইবার স্পেস নিরাপদ রাখতে পুলিশের এ উদ্যোগ। নতুন এ ইউনিটের বিশেষত্ব হলো এখানে যারা সেবা দেবেন ও তদন্ত করবেন, তারা সবাই পুলিশের নারী সদস্য। ফলে ভুক্তভোগীরা নির্দি্বধায় তাদের সমস্যাগুলো বলতে পারবেন। ভুক্তভোগী চাইলে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।
পুলিশপ্রধান বলেন, সাইবার অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলছে। এখন পর্যন্ত সাইবার অ্যাক্টে ছয় হাজার ৯৯টি মামলা হয়েছে। এই অপরাধগুলো নিয়ে ডিএমপি, ডিবি, সিআইডি ও পিবিআই কাজ করছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুনির্দিষ্ট কিছু অপরাধের ক্ষেত্রে এ ইউনিটে অভিযোগ জানানো যাবে। তা হলো- ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া, সোশ্যাল মিডিয়ার আইডি হ্যাক করা বা হ্যাক করার মাধ্যমে প্রতারণা, ছবি বা ভিডিও এডিট করে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, কারও ছবি ব্যবহার করে আপত্তিকর কনটেন্ট দিয়ে ভুয়া আইডি তৈরি করা, ফোন নম্বর বিভিন্ন খারাপ পোস্টে/সাইটে ছড়িয়ে দেওয়া, সাইবার বুলিং ও হ্যারেজমেন্ট, অনলাইনে আপত্তিকর ছবি/ভিডিও/তথ্য ফাঁস করার হুমকি দিয়ে অর্থ দাবি করা এবং যৌন হয়রানিমূলক মেসেজ/মেইল/লিঙ্ক পাঠানো।
নতুন এই কার্যক্রমের সেবা দেওয়ার জন্য একটি হটলাইন নম্বর (০১৩২০০০০৮৮৮) চালু করা হয়েছে। এ ছাড়াও ই-মেইল (cybersupport.women@police.gov.bd) ও ফেসবুক পেজে (https://m.facebook.com/PCSW.PHQ/) মেসেজ করে ভুক্তভোগীরা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (এঅ্যান্ডও) ড. মইনুর রহমান চৌধুরী, এসবির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলামসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।