তিন দিনের মধ্যে কুমিল্লার মুরাদনগরের শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ডের ৪ নম্বর কূপের নতুন স্তর থেকে প্রায় ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন শুরু করা যাবে।
শুক্রবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর গ্যাসফিল্ড ইনচার্জ প্রকৌশলী মো. শাহজাহান বলেন, ‘৪ নম্বর কূপটির ওপরের স্তর থেকে আগেই ৬-৭ মিলিয়ন ঘনফুট করে গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছিল। এখন নতুন করে আরো গভীরে খননের মাধ্যমে ২০ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস উত্তোলনের নিশ্চয়তা দেখা গেছে। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে এই গ্যাস জাতীয় গ্রিডেও যুক্ত করা সম্ভব হবে।’
এই কূপে থেকে ২০১৩ সালের জুন মাসে সর্বপ্রথম গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়। এখন ওই স্তরটি বন্ধ করে নতুন স্তর থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হবে।
শাহজাহান আরো বলেন, ‘বিদেশ থেকে এখন আমাদের বিপুল পরিমাণ এলএনজি গ্যাস আমদানি করতে হয়। এই নতুন কূপের গ্যাস যদি এলএনজির খাতে ব্যবহার করা যায় তাহলে প্রচুর রাজস্ব আয় সম্ভব হবে। এই কূপটি সম্পূর্ণ বাংলাদেশি প্রযুক্তিতে খনন করে গ্যাস উত্তোলন করা হবে।’
মার্চে শ্রীকাইলে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান পায় রাষ্ট্রীয় তেল গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্স।
শ্রীকাইল ইস্ট-১ গ্যাস ক্ষেত্রটি মুরাদনগর উপজেলায় অবস্থিত। নতুন আবিষ্কার হওয়া এ ক্ষেত্রটি দেশের ২৮তম। এখান থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশা বাপেক্সের।
সূত্র জানায়, গত বছরের ২৮ অক্টোবর গ্যাস অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু করে বাপেক্স। দীর্ঘ চার মাস খনন কাজের পর মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গ্যাস স্তরের বিষয়ে নিশ্চিত হন বাপেক্সের প্রকৌশলীরা।