অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে কারও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ এবং অত্যন্ত আকর্ষণীয় প্রণোদনার সুযোগ নিয়ে অধিক হারে মুনাফার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। এখানে বিনিয়োগ করে কারও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই।
গতকাল উন্নয়ন সহযোগিতার বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার ভেন্ডসেনের সঙ্গে ভার্চুয়াল সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ভার্চুয়াল সভায় তারা বাণিজ্য-বিনিয়োগ, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, এজ অব ডুয়িং বিজনেস, আর্থিক খাতে গৃহীত পদক্ষেপ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, শিক্ষা-সংস্কৃতি, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে। আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রম এবং এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে বিদেশি ঋণ এবং বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে নরওয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে পারে।’
নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘১০ বছর আগে আমি বাংলাদেশে এসেছিলাম। কিন্তু সেই বাংলাদেশ আর এই বাংলাদেশ এক নয়। বাংলাদেশের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়নসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে আছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে বিভিন্ন খাতে নরওয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতার বহুবিধ সুযোগ রয়েছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দুদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকে নরওয়ে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। নরওয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে। নরওয়ে বাংলাদেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাত বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিবেশ, সুশাসন, জেন্ডার ও মানবাধিকার, সংস্কৃতি, শিক্ষা এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে। ১৯৭১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত নরওয়ে সরকার বাংলাদেশকে খাদ্যে ৮ দশমিক ১৮৮ মিলিয়ন, পণ্যে ১৮২ দশমিক ৯১৪ মিলিয়ন এবং প্রকল্পে ৫৮২ দশমিক ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা দিয়েছে।