করোনাকালে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলা করে ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্পসহ পুরো বস্ত্র খাত ঘুরে দাঁড়ানোর তথ্য দিয়েছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন। তিনি বলেছেন, নিট পোশাকের অর্ডার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে জয়জয়কার চলছে। আগস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর এই তিন মাসে বিপুল পরিমাণ অর্ডার বেড়েছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের বস্ত্র খাতে এ মুহূর্তে কোনো স্টক নেই। সব টেক্সটাইল মিলসে পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। আগামী এক মাসের অগ্রিম অর্ডার রয়েছে অধিকাংশ টেক্সটাইল মিলে। সত্যি বলতে, সবার কাছেই দু-এক মাসের অর্ডার রয়েছে। তিনি বলেন, পোশাকশিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ শিল্প ভালো করছে। স্থানীয় শিল্পও ভালো করছে। আমাদের অর্থনীতি আগের তুলনায় অনেক ভালো। তবে জানুয়ারিতে লকডাউন না হলে রপ্তানি টার্গেট অর্জন অনেক সহজ হবে। ওভেন পোশাকপণ্যের তুলনায় নিট খাতে অর্ডার ছাড়িয়ে যাবে।’ বিটিএমইএ সভাপতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের আওতাধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) দেওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলেন, বিদায়ী বছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ৫৯৩ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছিল। চলতি বছরের প্রথম মাসে ৬২ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রবৃদ্ধি হয় ১৭ শতাংশ। পরের মাসেও প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ শতাংশ। মার্চ ও এপ্রিলেও রপ্তানি নেতিবাচক হয়নি। করোনার প্রভাব পড়তে শুরু করে মূলত মে মাসে। ওই মাসে রপ্তানি এক ধাক্কায় ১২ শতাংশ কমে যায়। চলতি বছরের আট মাস শেষে রপ্তানি হয়েছিল ৩৪৮ কোটি ডলারের পোশাক। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি কম হয় সাড়ে ১৪ শতাংশ। বাজারটিতে ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ৩৯৫ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৩ শতাংশ কম। রপ্তানি কমলেও বাজারটিতে বাংলাদেশের হিস্যা ১ শতাংশ বেড়েছে। গত বছর শেষে হিস্যা ছিল ৭ শতাংশ। বর্তমানে সেটি বেড়ে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছে।