প্রধানমন্ত্রীর সাহসী সিদ্ধান্তে ঝুঁকি নিয়ে কারখানা খোলায় ইতিবাচক ফল
- নতুন করে ফিরছেন ক্রেতা
করোনাকালীন দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে রেমিটেন্স প্রধান ভূমিকা রাখলেও পাশাপাশি পিছিয়ে নেই তৈরি পোশাক খাত শিল্পটি। করোনার থাবায় যেখানে বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোও নিজেদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশে আশার আলো দেখিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প। করোনার সময়ে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ থাকলেও নতুন করে ক্রয়াদেশ আসা ও স্থগিতাদেশ হওয়া পোশাকের ক্রয়াদেশের পণ্য নিতে শুরু করেছেন বিদেশী ক্রেতারা। বিশ্বের নামীদামী ব্র্যান্ডগুলোও এখন আগ্রহ দেখাচ্ছে পণ্য নিতে। এতে আশার আলো ছড়িয়ে পড়ছে সরকার ও খাত সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। করোনাকালীন খাতটিতে রক্ষার জন্য বিশেষ প্রণোদনাও কাজে এসেছে। কারখানাগুলোতে কর্মরত লাখো শ্রমিকের পাশে দাঁড়ানোর কারণেই এমনটি সম্ভব হয়েছে। তবে খাতটির ব্যবসায়ীরা মনে করছেন করোনা দ্বিতীয় ঢেউয়ের ওপর নির্ভর করবে তৈরি পোশাক খাতের সার্বিক পরিস্থিতি।
সরকারের সুদূর প্রসারী চিন্তা ভাবনার সুফল হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ আগামী বছরের প্রবৃদ্ধিতে শক্ত অবস্থান করে নিয়েছে। আগামী অর্থবছরে ভিয়েতনাম, শ্রীলঙ্কার পরেই বাংলাদেশ জিডিপিতে কিছুটা হলেও মজবুত অবস্থান বজায় রাখতে পারবে বলে বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কর্মকর্তারা মনে করছেন। উল্টোদিকে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে সেখানে প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক হবে বলেও আভাস মিলেছে। আগামী অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি যেখানে প্রাক্কলন করা হয়েছে চারের কাছাকাছি সেখানে ভারতের ঋণাত্মক ১০ এর কাছাকাছি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। করোনাকালীন ঝুঁকি নিয়ে হলেও তৈরি পোশাক কারখানাগুলো খুলে দেয়ার ইতিবাচক প্রভাব অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ের পণ্য খাতের রফতানি আয় পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সেখানে বিগত অর্থবছরের তুলনায় নিট পোশাক খাতের রফতানি আয় হয়েছে ৪৪৬ কোটি ৩৬ লাখ ডলার। যেখানে আগের বছরের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.০৮ শতাংশ। হোম টেক্সটাইলের রফতানি হয়েছে ২৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় ৪০ দশমিক ৭৪ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য মতে, তৈরি পোশাক খাতে জুলাই-সেপ্টেম্বর মাসে মোট রতফানি হয়েছে ৮১২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। আগের বছরে এই সময়ে খাতটিতে রফতানির পরিমাণ ছিল ৮০৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। যা আগের বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক ও বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসে আগে সরবরাহকৃত পণ্য মূল্য পরিশোধ এবং নতুন কিছু ক্রয়াদেশ আসার কারণে আগের তুলনায় রফতানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। তবে তৈরি পোশাক খাতটির প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ওপর নির্ভর করে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। এই ঢেউয়ের ওপর তৈরি পোশাক খাতের ভবিষ্যত নির্ভর করছে।
ক্রেতা ফিরতে শুরু করেছেন ॥ করোনার কারণে বাতিল ও স্থগিতাদেশ হওয়া পোশাকের ক্রয়াদেশের পণ্য নিতে শুরু করেছেন বিদেশী ক্রেতারা। আবার নতুন করে আসছে ক্রয়াদেশও। এরই মধ্যে অনেক কারখানাতেই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাজ করার মতো পর্যাপ্ত ক্রয়াদেশ ছিল। এখন কিছুটা অফ সিজন হলেও নতুন করে ক্রয়াদেশ আসছে। বিপর্যস্ত খাতটির সংশ্লিষ্টরা এতে আশাবাদী হয়ে উঠছেন।
খাত সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে যে পরিমাণ ক্রয়াদেশ আসছে, সেটিকে পর্যাপ্ত না হলেও আশার আলো রয়েছে। কারণ করোনার কারণে প্রধান বাজার ইউরোপ ও আমেরিকার অর্থনীতিই চাপেই রয়েছে। সেখানে এই ক্রয়াদেশ আসাতে ইতিবাচকভাবেই দেখতে হবে। সবাইকেই এই মহামারীর ভয়াবহতা বুঝতে হবে। গত কয়েক মাসে মহামারী করোনাতে বিশ্বের অনেক শক্তিশালী দেশই অর্থনীতিই চাপে রয়েছে। তেল, সোনা ও রুপার আন্তর্জাতিক বাজারও অস্থির আচরণ করেছে। সেখানে বাংলাদেশে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও পোশাক শিল্পের ভালভাবে ফিরে আসায় অর্থনীতিতে তেমন প্রভাব পড়েনি।
একাধিক কারখানা মালিক জানান, গতবারের তুলনায় বর্তমানে ৭০-৮০ শতাংশ ক্রয়াদেশ আসছে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে সাহস জোগাচ্ছে। অনেক বড় ব্র্যান্ড স্থগিত ও বাতিল করা ক্রয়াদেশের পণ্য আবার নিতে শুরু করায় পোশাক রফতানি গত জুনে খানিকটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। জুনের পর থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত রফতানিও ভাল ছিল। শুধু তাই নয়, সেপ্টেম্বর মাসের আগে অর্থবছরের তুলনায় রফতানি প্রবৃদ্ধিও বেশি হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে গত মার্চে সেখানকার বড় ক্রেতারা একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত করতে থাকেন। এদিকে দেশেও ভাইরাসটির সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণার পর মাসখানেক পোশাক কারখানা বন্ধ ছিল। ফলে গত এপ্রিলে মাত্র ৩৭ কোটি মার্কিন ডলারের পোশাক রফতানি হয়, যা গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনি¤œ। পরের মাসে রফতানি হয় ১২৩ কোটি ডলারের পোশাক। জুনে সেটি বেড়ে ২২৫ কোটি ডলারে গিয়ে দাঁড়ায়। তারপরও বিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২ হাজার ৭৯৫ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়, যা তার আগের বছরের চেয়ে ৬১৮ কোটি ডলার কম। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসেই তৈরি পোশাক খাতটি হারানো স্থান পুনরুদ্ধার শুরু করে। শুধুমাত্র গত মাসেই খাতটির রফতানি হয়েছে ৮০৫ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে বেশি। করোনার এই ভয়াবহতার মধ্যে যেটি অকল্পনীয় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
চট্টগ্রামের প্যাসিফিক জিনসের পাঁচটি কারখানায় করোনা সংক্রমণের মধ্যেও সদ্যবিদায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে তারা রফতানি করেছে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের পোশাক। তার আগের অর্থবছরের চেয়ে তাদের রফতানি কমেনি, বাড়েনি। প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা জানান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে বিক্রয়কেন্দ্র খোলার পরপরই ক্রেতারা ক্রয়াদেশ দিতে শুরু করেছেন। আমাদের কারখানায় গতবারের চেয়ে বর্তমানে ৬০-৭০ শতাংশ ক্রয়াদেশ রয়েছে। তিনি বলেন, নবেম্বর পর্যন্ত ক্রয়াদেশ আছে। তারপরের ক্রয়াদেশও আসছে। তবে আসার গতিটা কম।
এদিকে করোনায় একেবারে ক্রয়াদেশ কমেনি, এমন কারাখানাও রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের তিনটি কারখানার এক পুরনো উদ্যোক্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অক্টোবর পর্যন্ত ক্রয়াদেশ নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই তার। গতবারের মতোই ক্রয়াদেশ রয়েছে কারখানায়। করোনায় ক্রয়াদেশ তো কমেনি, বরং নতুন দুটি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের ক্রয়াদেশ পেয়েছেন তিনি। তার ক্রেতা বেশিরভাগই কোরিয়ান। পুরনো ক্রেতারা নতুন করে যোগাযোগ শুরু করছেন।
পোশাক খাতের আরেক বড় প্রতিষ্ঠান ঢাকার রাইজিং গ্রুপ। তাদের পোশাক কারখানার সংখ্যা ৭। ওয়ালমার্ট, ইন্ডিটেক্স, প্রাইমার্ক, টার্গেট, কিয়াবি, কে-মার্টের মতো বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করা রাইজিং গ্রুপের রফতানির পরিমাণ বছরে ১৩ কোটি ডলার।
জানা গেছে, গত মার্চে পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত হওয়ায় মালিকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে সরকার রফতানিমুখী কারখানার শ্রমিকদের মজুরি দেয়ার জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। সেই তহবিল থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কারখানার মালিক মাত্র ২ শতাংশ সেবা মাশুলে ঋণ নিয়ে তিন মাসের মজুরি দিয়েছেন। অন্যদিকে দুই মাসের ব্যবধানে পোশাক রফতানিতে গতি ফিরলেও কোন কোন কোম্পানিতে শ্রমিক ছাঁটাই চলছে।
বিজিএমইএর তথ্যানুযায়ী, করোনায় ৩১৮ কোটি ডলারের পোশাক রফতানির ক্রয়াদেশ প্রাথমিকভাবে বাতিল ও স্থগিত হয়েছিল। তার মধ্যে প্রাইমার্ক ৩৩ কোটি, ইন্ডিটেক্স ৮ কোটি ৭০, বেস্টসেলার ৮ কোটি ৩০ লাখ, মাদারকেয়ার ৫ কোটি ৬০ লাখ, কোহলস ৫ কোটি ৪০ লাখ, গ্যাপ ৩ কোটি ৮০ লাখ, জেসি পেনি সাড়ে ৩ কোটি, ওয়ালমার্ট ১ কোটি ৯০ লাখ, ডেবেনহাম ১ কোটি ৮০ লাখ ও রালফ লরেন ১ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ বাতিল ও স্থগিত করে (হিসাবটি আনুমানিক)।
পরবর্তী সময়ে নানামুখী চাপের কারণে অধিকাংশ ক্রেতাই পণ্য নিতে সম্মত হন। তবে অর্থ পরিশোধে ছয় মাস পর্যন্ত সময় চান অনেকে। সর্বশেষ ২ জুলাই লেভি স্ট্রজ ও তার কয়েক দিন পর গ্যাপ ইনকর্পোরেশন বাতিল করা ক্রয়াদেশের পোশাক পূর্ণ দাম দিয়ে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ফলে ব্র্যান্ড দুটির ৩০-৪০টি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন।
বাংলাদেশী পোশাকের অন্যতম বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এইচএ্যান্ডএম। সুইডেনভিত্তিক এই ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি ডলার বা ২৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার পোশাক কিনে থাকে। সেই হিসাবে ১০ শতাংশ বাংলাদেশী পোশাকের ক্রেতা হচ্ছে এইচএ্যান্ডএম। করোনায় কোন ক্রয়াদেশ বাতিল করেনি তারা। স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশের পণ্য নেয়া শুরুর পাশাপাশি উদ্যোক্তাদের কাছে কোন মূল্য ছাড়ও চায়নি। পোশাকের ক্রয়াদেশের দাম পরিশোধের শর্তেও কোন রকম পরিবর্তন করেনি এইচএ্যান্ডএম।
এইচএ্যান্ডএমের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত দুই থেকে আড়াই মাসে আমরা ৫০ কোটি ডলারের ক্রয়াদেশ দেয়া হয়েছে। এইচএ্যান্ডএমের ৩০০ সরবরাহকারী কারখানার সবাই ক্রয়াদেশ পেয়েছে। এইচএ্যান্ডএমের ক্রয়াদেশ পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্য প্রতিযোগী দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান ভাল। চীন ও তুরস্ক থেকে যেসব ক্রয়াদেশ সরছে, তার একটি অংশ বাংলাদেশে আসছে। কারণ, বাংলাদেশে উৎপাদন খরচ তুলনামূলক কম।
করোনার কারণে বিশ্বের অন্য দেশ যেখানে লকডাউনে হিমশিম খাচ্ছিল সেখানে শেখ হাসিনার সরকার দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির কথা চিন্তা করে নানা সমালোচনার পরও গার্মেন্টস খুলে দেয়ার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত নেন। তখন ঢাকার অদূরে সাভার ও গাজীপুরের কারখানাগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম-এমন নিরাপত্তা সরঞ্জাম বানিয়ে তা পশ্চিমা দেশগুলোতে সরবরাহ করা হয়। সেখানে শ্রমিকরা এসব কারখানায় সপ্তাহে ৬ দিন দৈনিক ৮ ঘণ্টা করে কাজ করে। তারা মূলত ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) সবচেয়ে বেশি বানায়। এছাড়া ফেস মাস্ক ও গ্লাভসের চাহিদা থাকায় পশ্চিমা দেশগুলোতে সেগুলোও পাঠানো হয়।
বস্ত্র খাতের প্রবৃদ্ধির বিষয়ে বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দিন বলেন, আমাদের রফতানি আয়ের অন্যতম প্রধান খাত হলো আরএমজি খাত। এই খাতের ওপর নির্ভর করেই রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি এসেছে। যদিও আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার মধ্যে কারখানাগুলো খুলে দেয়ার সময়োচিত ও সাহসী সিদ্ধান্তের ফলে। এছাড়া নীতিগত সহায়তা, প্রণোদনা প্যাকেজসহ নানা উদ্যোগেসহ আমাদের কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের কঠোর পরিশ্রম ও দূতাবাসগুলোর সহযোগিতায়। তিনি বলেন, রফতানি আয়ে বৈচিত্র্য আনতে আমরা বেশকিছু কৌশল গ্রহণ করেছি। তৈরি পোশাকের অর্ডার বাতিলের পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় আলোচনা হয়েছে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে- তৈরি পোশাকের পাশাপাশি অপ্রচলিত পণ্যের রফতানি বাড়ানো এবং নতুন বাজার অনুসন্ধান। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশীয় পণ্যের মানোন্নয়নে প্রকল্পও গ্রহণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, এ বছরের মার্চ থেকে আমাদের পোশাক রফতানির অবাধ পতন ঘটছে। জুনে অবস্থা তুলনামূলক ভাল হবে বলে আমরা আশা করেছিলাম। বাস্তবেও হয়েছে তাই। পতনের হার কমে এসেছে। ক্রেতারাও আগের তুলনায় ক্রয়াদের বাড়াচ্ছে। এমনকি সেপ্টেম্বর মাসে আগের তুলনায় রফতানি বেড়েছেও।