অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে আমরা ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছি। গত জুলাই এবং আগস্টের তথ্যে সেটিই দেখা যাচ্ছে। এসময় দেশে রেমিট্যান্স বেড়েছে প্রায় ৫০ ভাগ। রপ্তানি আয় এবং অন্যান্য সূচকেও ইতিবাচক ধারা দেখা যাচ্ছে। গত জুলাই আগস্টে যে অগ্রগতি আমরা দেখতে পাচ্ছি তাতে করোনার মধ্যেও আমরা দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবো।
দেশে যে ভৌত অবকাঠামো তৈরি হয়েছে তাতে বিনিয়োগ বাড়বে, এমন প্রত্যাশা করনে অর্থমন্ত্রী। যে যে জায়গায় ঘাটতি রয়েছে এখন সেটিও পূরণ হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার আয়োজিত ভার্চুয়াল সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত সংলাপে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম। সংলাপে দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও অংশ নেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো জনসম্পদ। এটি এখনও আমরা ব্যবহার করতে পারছি না। এদেশের বিশাল জনগোষ্ঠী এখন তরুণ। ২০৬৫ সাল পর্যন্ত আমরা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট সুবিধা পাবো। আমরা যদি জনগণকে যথাযথভাবে ব্যবহার করতে পারি এরাই হবে বড় শক্তি। আগে নারীরা তেমন কর্মসংস্থানে যুক্ত ছিল না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এখন জনসম্পদকে কাজে লাগাচ্ছেন। এখন দেশের ৪৪ শতাংশ নারী শ্রমশক্তিতে যুক্ত হয়েছেন যা কানাডার কাছাকাছি।
তিনি বলেন, করোনার মধ্যেও গত অর্থবছর ৫ দশমিক ২ শতাংশ যে প্রবৃদ্ধি আমরা অর্জন করেছি সেটি এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি। বৈদেশিক বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় বিনিয়োগেরও প্রতিও গুরুত্ব দিচ্ছি। স্থানীয় শিল্পের জন্য আমরা অবারিত সুযোগ দিয়ে রেখেছি, তাদের উপেক্ষা করছি না।