চলতি অর্থবছরের নয় মাসে ১৮ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছে দেশে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের জুলাই-জানুয়ারি সময়ে ১৩ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছিলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা।এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের প্রবাসী আয় পাঠানোর নিয়ামকানুন সহজ করে দেওয়া, সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সংস্কারমুখী পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। আমাদের এ অর্জন দিন দিন বেড়েই চলেছে, আমাদের প্রত্যাশা এটি আরো বাড়বে। এ বিষয়ে সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে। কাউকে হয়রানি করা হয়না, সময়মত এর উপকারভোগীর হাতে পৌছে যায়- যার কারনে এটি দিন দিন বেড়েই চলেছে এবং বাড়তেই থাকবে, ইনশাআল্লাহ।বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) রেমিটেন্সের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, ২০২১ সালের মার্চ মাসে ১৯১ কোটি ৬৫ লাখ ডলারের রেমিটেন্স দেশে এসেছে। এ অংক গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে প্রায় ৩৩ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে ১৬৩ কোটি ৮৪ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল। ২০১৯-২০ অর্থবছরের পুরো সময়ে (জুন-জুলাই) ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল। সে হিসাবে দেখা যাচ্ছে, গত অর্থবছরের রেমিটেন্স নয় মাসেই চলে এসেছে।২০২০ সালের পুরোটাই গেছে মহামারীর সঙ্কটের মধ্যে, এখনও সে বিপদ কাটেনি। পুরো বিশ্বের মত বাংলাদেশের অর্থনীতিকেও এ সঙ্কটে হোঁচট খেতে হয়েছে। তবে এর মধ্যেও বাংলাদের রেমিটেন্স প্রবাহ কমেনি, উল্টো বেড়েছে। বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছিল, কোভিড-১৯ মহামারীর ধাক্কায় ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার রেমিটেন্স ২২ শতাংশ কমবে; বাংলাদেশে কমবে ২০ শতাংশ। কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশে রেমিটেন্স বেড়েছে ১৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ।চলতি অর্থবছরের নয় মাসের মধ্যে পাঁচ মাসেই দুই বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স দেশে এসেছে। ২০২০ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ২০৫ কোটি ডলার। মহামারীর মধ্যেই অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে, যা এক মাসের হিসাবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা। ওই অঙ্ক ছিল আগের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বেশি।