এক বিস্ময় বঙ্গবন্ধুতে অন্যটি শেখ হাসিনায়, বাংলাদেশ প্রসঙ্গে চীন

admin
ডিসেম্বর ১৮, ২০২০ ৩:৪৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জনের মতো বাংলাদেশে চলমান উন্নয়ন-অগ্রগতিকে বিশ্বের কাছে বিস্ময় ও রোল মডেল হিসেবে উল্লেখ করেছে চীন। একই সঙ্গে দেশটি জোরালো প্রশংসা করেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার ঢাকায় চীন দূতাবাসের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। বার্তাটি দিয়েছেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
বিজয় দিবস উপলক্ষে চীনের জনগণ ও সরকারের পক্ষে বাংলাদেশিদের অভিনন্দন জানিয়ে লি জিমিং বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপনে যোগ দিতে পারার চেয়ে বড় গর্ব ও সম্মানের কিছু হতে পারে না। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ বিস্ময় সৃষ্টি করেছিল। আর এটি সম্ভব হয়েছিল শুধু সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চমকপ্রদ নেতৃত্বের কারণে। এ কারণে আমি আপনাদের সঙ্গে মিলে বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও ১৯৭১ সালের সব শহীদের বিদেহী আত্মার প্রতি সম্মান জানাই।’
চীনা রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহান নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নে রোল মডেল ও বিস্ময়। তিনি তাঁর বাবার মতোই একের পর এক জাতীয় অর্জনের মাধ্যমে বিশ্বকে বিস্মিত করছেন। এগুলো অনেকের কাছেই অসম্ভব মনে হয়েছিল। সর্বোপরি নজিরবিহীন কভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলা ও সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর (শেখ হাসিনার) নেতৃত্ব সত্যি অসাধারণ। দ্রুত অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে তাঁর উদ্যোগগুলোর প্রভাব দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জনের ক্ষেত্রে পড়তে শুরু করেছে।’
লি জিমিং বলেন, ‘বাংলাদেশ যখন সোনার বাংলা বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হচ্ছে, তখন চীন স্ট্র্যাটেজিক অংশীদারের পাশাপাশি বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে সব সময় বাংলাদেশের হাত ধরে আছে এবং ভবিষ্যতের প্রতিটি উদ্যোগে নিশ্চিতভাবে তা অব্যাহত রাখবে।’
চীনের রাষ্ট্রদূত তাঁর বার্তার শেষ পর্যায়ে বলেন, ‘জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু! চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী অমর হোক।’
ফেসবুকে চীনা রাষ্ট্রদূতের এ বার্তাকে স্বাগত জানিয়েছেন বেশির ভাগ ফলোয়ার। তবে কিছুটা ভিন্ন প্রতিক্রিয়াও এসেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্রেসসচিব কামাল খান চীন দূতাবাসের ফেসবুকে চীনা রাষ্ট্রদূতের বার্তার প্রতিক্রিয়ায় লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের জনগণের অধিকাংশই চীনকে নিপীড়িত ও ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণের বন্ধু হিসেবে দেখতে চায়। ১৯৭১ সালে তারা যেমন চেয়েছিল, এখনো তেমন চায়। আমি আশা করি, চীন এই দেশের অধিকাংশ জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান করবে।’