আগামী ৪ বছরে ২৫ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করতে চায় সরকার

admin
ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১ ২:৩৪ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ বার্ষিক ২৫ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থান করতে চায় সরকার। বেসরকারি ও বিদেশি বিনিয়োগে ভর করে এ কর্মসংস্থানে উৎপাদনমুখী শিল্প খাত বড় অবদান রাখবে বলে মনে করা হচ্ছে। সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী উন্নয়ন পরিকল্পনায় দারিদ্র্য হার ১৫ শতাংশের ঘরে নামানোর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। আর লক্ষ্যপূরণে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা জনগণের আকাঙ্ক্ষা বিবেচনায় নিয়ে বাস্তবায়ন করার তাগিদ দিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকা দারিদ্র্যের হার করোনা মহামারির থাবায় আবারো বেড়ে ২৩ শতাংশ হয়েছে। তাই দারিদ্র্য হার কমাতে কর্মসংস্থানের গতি বাড়াতে চায় সরকার। ২০২০-এর জুন থেকে কাগজে কলমে শুরু হওয়া অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় তাই কৃষি ও সেবা খাতের তুলনায় শিল্পে রাখা হচ্ছে বাড়তি ভরসা। ২০২৫ সাল নাগাদ ৮.৫১ শতাংশ জিডিপি প্রবদ্ধি অর্জনে প্রতি ১০০ টাকার ৩৭ টাকা বিনিয়োগ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে পরিকল্পনায়।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর এনইসি সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সভায় বলা হয়, ৫ বছরে বিদেশে সাড়ে ৩২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে জানান বক্তারা।
সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের যুগ্ম প্রধান মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেন, শিল্পে আমাদের ৬.৪ শতাংশ আছে যেটাতে আমরা ১১.৯ শতাংশ নেব। আলোচনায় বলা হয়, ২০০২ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত কোন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়নি। তবে বর্তমান সরকার পরিকল্পিত উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়ায় করোনার মধ্যেও সন্তোষজনক প্রবৃদ্ধি অর্জন করা গেছে। পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, ১৯-২০ সমগ্র বিশ্বে একটা নেগেটিভ গ্রোথ গেছে। বাংলাদেশ একটা সৌভাগ্যবান দেশ যেখানে ইতিবাচক গ্রোথ হয়েছে। এখানে মূল বিষয়টি হলো পরিকল্পনা অনুসরণ করে সম্পদের যে বিন্যাস ব্যবহার বাজেট তৈরি করা এবং সেক্ষেত্রে সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার করা। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার উন্নয়নের অর্থ জোগানে ২০২৫ সালে রাজস্ব ও জিডিপির অনুপাত ৯.৪ থেকে বাড়িয়ে ১৪.০৬ করতে চায় সরকার। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময়মতো পর্যালোচনার তাগিদ দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, এসব মানুষ যারা গ্রামেগঞ্জে আছেন তারা এদেশের মালিক, তাদের চিন্তার সঙ্গে আমরা যারা এখানে কাজ করছি আমাদের একটা মেলবন্ধন না হয় তাহলে তো আমাদের কাজ তাদের কাজ উভয়ের কাজেই ক্ষতি হবে। প্রতিবছর শেষ হওয়ার পর রিভিউর আমরা করতে পারি। পরিকল্পনায় ব্যাংক, পুঁজিবাজার ও আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি ঋণ আদায়-ব্যাংকিং আদালতের কার্যক্রমের উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।