অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলার অঙ্গীকার প্রধানমন্ত্রীর

admin
মার্চ ২০, ২০২১ ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা যে স্বপ্ন রেখে গেছেন সেই স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত , সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে অঙ্গীকার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা।
শুক্রবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর তৃতীয় দিনের আয়োজনে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
‘জাতির পিতা যে স্বপ্ন রেখে গেছেন সেই স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করব। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ।’
বাংলাদেশের একজন মানুষও ক্ষুধার্ত ও গৃহহীন থাকবে না জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের ঘরে আমরা আলো জ্বালাব। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান সবদিক থেকেই আমাদের মানুষ যেন উন্নত, সমৃদ্ধ জীবন পায়, যেটা জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল।’
বর্ণাঢ্য এই আয়োজনে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে যোগ দেয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার যোগদান শ্রীলঙ্কার জনগণের সঙ্গে আমাদের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেরই প্রতিফলন।
‘শ্রীলঙ্কা আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু দেশ। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একই ধরনের মনোভাব পোষণ করে এবং আমরা পরস্পরকে সমর্থন ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি।’
শ্রীলঙ্কার সরকারপ্রধান মাহিন্দা রাজাপাকসেকে ‘বাংলাদেশের একজন অকৃত্রিম বন্ধু’ আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তিনি (রাজাপাকসে) সব সময়ই বাংলাদেশের পাশে অবস্থান করেন। আমিও চেষ্টা করি সেই বন্ধুত্বের প্রতিদান দিতে।’
এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলেও আশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার বক্তব্যে উঠে আসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন, দেশপ্রেম, দেশের স্বাধীনতায় তার অবদান, আত্মত্যাগ আর দেশ গঠনে দূরদর্শী চিন্তার কথা।
তিনি বলেন, ‘৭৫-এর ১৫ আগস্টের পর স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নামটা মুছে ফেলা হয়েছিল। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা হয়েছিল। ৭৫-এর পর একের পর এক মিলিটারি ডিকটেটর বা তাদের দোসর ক্ষমতায় এসেছে, স্বাধীনতাবিরোধীরা ক্ষমতায় এসেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যারা হত্যা করেছে, তারা সবাই ক্ষমতায় এসেছে, তাদের একটাই ভয়ভীতি নাম নিয়ে। কাজেই তারা ২১টি বছর সবকিছুই নিষিদ্ধ করে রেখেছিল।’
দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সকলের সমর্থন নিয়ে আমরা সরকার গঠন করে আজকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত করতে পেরেছি। দেশের মানুষ ভোট দিয়েছে বলেই এ আয়োজন করা সম্ভব হয়েছে।’