• দুর্নীতিবাজমুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ
• মানব কল্যাণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করার বার্তা
গাফফার খান চৌধুরী ॥ অপরাধ দমনে প্রযুক্তিই হবে বড় হাতিয়ার। মাদক নির্মূল, দুর্নীতি দমন, জঙ্গী কার্যক্রম চিরতরে মুছে ফেলা, নির্যাতন বন্ধ করাসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মানুষের সেবার কাজে ব্যবহৃত হবে তথ্যপ্রযুক্তি। দেশের সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেভাবেই সজ্জিত করা হচ্ছে। নতুন বছরে মানুষের জন্য এটি হবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপহার। পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদের বরাত দিয়ে সহকারী পুলিশ মহাপরিদর্শক সোহেল রানা জনকণ্ঠকে বলেন, প্রযুক্তি আর সামাজিক সচেতনতার মাধ্যমে অপরাধ দমনকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়া হয়েছে। নতুন বছরে সেভাবেই এসেছে সকল দিকনির্র্দেশনা।
অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রায় শতভাগ অপরাধের সঙ্গে আগে বা পরে প্রযুক্তির একটি যোগসূত্র থাকে। এছাড়া আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধীর কোন না কোন ক্লু বের করা সম্ভব হয়। বিশ্বের সকল উন্নত রাষ্ট্রে অপরাধ দমনে তথ্যপ্রযুক্তিকে প্রাধান্য দেয়া হয়। প্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধী শনাক্ত যেমন সহজ হয় তেমনি অপরাধ সংঘটনে অপরাধীকে সতর্ক বার্তা দেয়া যায়। এ ধারণা সামনে রেখেই সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য প্রযুক্তিতে সজ্জিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সেবার কার্যক্রম তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে দিতে নেয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ।
নতুন বছরের অগ্রাধিকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে মাদক নির্মূলকে ধরা হয়েছে। মাদক আমাদের আগামী প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে প্রায় তিনশ’ বেসরকারী মাদক নিরাময় কেন্দ্র স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কঠোরভাবে মনিটরিং করা হবে এসব কেন্দ্র। ঢাকার অধিকাংশ মাদক নিরাময় কেন্দ্র বৈজ্ঞানিক বা চিকিৎসা পদ্ধতি মোতাবেক পরিচালিত হচ্ছে না। প্রায়ই এসব নিরাময় কেন্দ্রে নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে। কঠোর মনিটরিংয়ের আওতায় এনে এসব প্রতিষ্ঠান থেকে অপকর্ম দূর করা হবে। মাদককে বেশি প্রাধান্য দেয়ার অন্যতম কারণ, প্রায় প্রতিটি অপরাধের সঙ্গে প্রযুক্তির পাশাপাশি মাদকেরও নিবিড় সম্পর্ক থাকে। এছাড়া দ্রুত মাদক গ্রহণকারী শনাক্ত করতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু হয়েছে। অপরাধীকে শনাক্ত করে সংশোধনাগারে পাঠানো গেলে মাদকের ব্যবহার কমবে।
জঙ্গীবাদ দমন, দুর্নীতি, খুন, ধর্ষণ ইত্যাদি অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে তথ্যপ্রযুক্তি খুবই সহায়ক ভূমিকা পালন করে। সিঙ্গাপুরের মতো রাষ্ট্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব অপরাধ প্রায় শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এসব অপরাধ কমানো হয়েছে। বিশেষ করে প্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধী দ্রুত চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই অপরাধ প্রবণতা কমে যায়। দেশেও কয়েকটি চাঞ্চল্যকর খুন ও অপরাধের ঘটনায় তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে দ্রুত অপরাধী শনাক্ত ও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। বিশাল জনগোষ্ঠীর অনুপাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সীমিত শক্তি দিয়ে এসব অপরাধ তৎপরতা দমন কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রযুক্তিতে দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে। এসব দিক বিবেচনায় পুলিশে প্রযুক্তির জন্য আলাদা ইউনিট খোলা হয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহারে পুলিশ সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়ারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রযুক্তির যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপরাধীদের অন্যতম হাতিয়ার। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব মাধ্যমের কর্তৃপক্ষ যথাযথ দায়িত্ব জ্ঞানের পরিচয় দেন না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এসব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায় না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রভাবশালী হচ্ছে ফেসবুক। এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কোন কিছুই মনিটরিং করা হয়না। ব্যক্তিকেন্দ্রিক বা ধর্মীয় অপরাধ বা গুজবের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে জানালে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ মাঝে মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও রাজনৈতিক ইস্যুতে একেবারেই নিষ্ক্রিয়। কোনভাবেই তারা রাজনৈতিক ইস্যুতে হস্তক্ষেপ করতে চান না। ফলে রাজনৈতিক ইস্যুতে গুজবের সূত্র ধরে অনেক সময়ই দেশে বড় ধরনের অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক গুজব প্রতিরোধে একমাত্র সঠিক মনিটরিং আর গুজব সৃষ্টিকারীদের গ্রেফতারই প্রধান ভরসা।
এ ধরনের অপরাধ কমানোর জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ রয়েছে। সীমিত পর্যায়ে হলেও সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম মনিটরিংয়ে জোর দেয়া হচ্ছে। এজন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে দক্ষ জনবল বৃদ্ধির। ভুয়া ফেসবুক এ্যাকাউন্ট যাতে কেউ খুলতে না পারে, এ ব্যাপারে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা বলা হয়েছিল। তার কোন সুফল আসেনি। এজন্য বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যেই বিটিআরসির সঙ্গে কথা হয়েছে। বিটিআরসির তরফ থেকে প্রতিটি মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানিকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তাতে বেনামে বা প্রয়োজনের অতিরিক্ত সিম যাচাই-বাছাই ছাড়া বা সুনির্দিষ্ট প্রয়োজন ছাড়া বিক্রি না করতে বলা হয়েছে। এর বাইরে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, খুন, মাদক চোরাচালান, রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি, নাশকতা, ইভটিজিং, নারী-শিশু নির্যাতন থেকে শুরু করে গুজব পর্যন্ত প্রতিটি অপরাধ দমনে প্রযুক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে।
নতুন বছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সর্বোচ্চ মহলের বার্তা হচ্ছে, মানব কল্যাণকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করতে হবে। এতে বলা হয়, পুলিশ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনও কিছুটা বিরূপ ধারণা রয়েছে। সেবা দিয়ে মানুষের এ ধারণা পাল্টাতে হবে। পুলিশের প্রতি আস্থা বাড়লে সমাজ থেকে সব ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। এর আগে পুলিশকে স্বচ্ছ করতে হবে। দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ বাহিনী গঠনে কাজ চলছে। দুর্নীতিমুক্ত পুলিশ বাহিনী দিয়েই সমাজ থেকে দুর্নীতি দূর করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি পুলিশকে একটি পেশাদার সুশৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
নতুন বছরে অপরাধ নির্মূলের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা সব ধরনের অপরাধ দমনকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তবে এবার মাদক নির্মূলকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। প্রতিদিন ঢাকায় মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। মাদকের সঙ্গে জড়িতরা গ্রেফতার হচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযানে মাদকের সঙ্গে জড়িত অনেকেই মারাও গেছে। তারপরেও যেন মাদকের আগ্রাসন থামানো যাচ্ছে না। মাদকসেবী বা ব্যবসায়ী কোনটিই কমছে না। অভিযানের পাশাপাশি সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করছি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগের উপকমিশনার আফম আল কিবরিয়া জনকণ্ঠকে বলেন, সমাজে গতানুগতিক অপরাধ ছিল, আছে এবং থাকবে। বিশেষ করে চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি, খুন, ধর্ষণ, দুর্নীতি, ছিনতাই, ইভটিজিং থেকে শুরু করে নানা ধরনের অপরাধ রয়েছে। এর বাইরে রয়েছে প্রযুক্তিগত অপরাধ। যেসব অপরাধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেশব্যাপী নাশকতামূলক ঘটনা ঘটায় কোন কোন সুবিধাভোগী গোষ্ঠী। প্রতিটি অপরাধের তদন্তের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, প্রযুক্তির যোগসূত্র আছে। বিশেষ করে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে গুজব বা মিথ্যা প্রচার যেন কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। আমাদের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে জিরো টলারেন্স রয়েছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি অবস্থার উন্নতি হবে।
পুলিশের এন্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান জনকণ্ঠকে বলেন, জঙ্গীবাদকে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছি। সারাদেশে বিশাল নেটওয়ার্ক সৃষ্টি করেছি। কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা থেকে তা মনিটরিং করছি। অপারেশন চালাচ্ছি। প্রতিদিনই দেশের কোন না কোন জেলা থেকে জঙ্গীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাদের দেয়া তথ্য মোতাবেক একটি ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি হচ্ছে। অদূর ভবিষ্যতে জঙ্গীবাদ সম্পর্কে একটি সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডার থাকবে।
র্যা ব মহাপরিচালক পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জনকণ্ঠকে বলেন, র্যা ব মূলত সব ধরনের অপরাধ নিয়েই কাজ করে। সমাজে হেন কোন অপরাধ নেই, যা নিয়ে র্যা ব কাজ করে না। তবে দেশ ও দেশবাসীর স্বার্থে যেকোন ধরনের অপরাধ দমনে র্যা ব সব সময়ই বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। বিশেষ করে মাদক, জঙ্গী, খাদ্যে ভেজাল, নকল ওষুধকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়। কারণ এর সঙ্গে সমাজ ও মানুষের অনেক কিছুই জড়িত থাকে। এর বাইরে চুরি, ডাকাতি, সাইবার অপরাধসহ অন্যান্য অপরাধ দমনে র্যা ব নতুন বছরে আরও গভীরভাবে কাজ করবে।
সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, দেশে বা বিদেশে অপরাধের ধরণ পাল্টেছে। অপরাধের তদন্তকেই বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে সিআইডি। তবে এর বাইরে সাইবার অপরাধ দমনকে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেয়া হয়েছে। প্রযুক্তিগত অপরাধ দমনে প্রাথমিকভাবে একটি সাইবার থানা স্থাপনের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। যেখানে শুধু প্রযুক্তিগত অপরাধের তদন্ত হবে। প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা মামুলি ব্যাপারে পরিণত হবে। কারণ প্রায় সকল ধরনের অপরাধের আগে বা পিছে কোন না কোনভাবে প্রযুক্তির যোগসূত্র থাকে।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশে নিয়োগ পাওয়া সকল স্তরের সদস্যের প্রশিক্ষিত করা অব্যাহত আছে। প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি নিয়োগ দেয়া হচ্ছে সাইবার বিশেষজ্ঞ। পাশাপাশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিষয় পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন, অপরাধ উদ্ঘাটন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জাতিসংঘের আওতায় পুলিশ দক্ষতার সঙ্গে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। অপরাধ প্রতিরোধ, উদ্ঘাটন এবং নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জনে স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশে নতুন নিয়োগ পাওয়া প্রতিটি সদস্যকে সাইবার ক্রাইম বিষয়ে পারদর্শী করতে সরকারের তরফ থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে কমিটিকে।
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ই-ট্রাফিকিং প্রসিকিউশন, অনলাইন পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, স্পেশাল ব্রাঞ্চের ইমিগ্রেশন সার্ভিস, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নিয়োগ, টেন্ডার, কর্মকর্তাদের ই-মেইল ও ফোন নম্বর ইত্যাদি সুবিধা চালু করা হয়েছে। অনলাইন জিডি চালু করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পরিসরে অপরাধীচক্র চিহ্নিত করার ক্ষেত্রে পুলিশ প্রযুক্তিগত পদ্ধতি চালু করেছে। এজন্য রাজারবাগে আইসিটি (ইনস্টিটিউট অব সাইবার টেকনিক্যাল) প্রশিক্ষণ স্কুল খোলা হয়েছে। সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।